অস্তনির্জন
দত্তর কবিতা
অস্তনির্জন
দত্ত-এর জন্ম
১৯৮২, পেশায় হার্ডওয়্যার
ইঞ্জিনিয়ার, দিল্লি
শহরের বাসিন্দা,
বর্তমানে ডেল ইমসি-তে
কর্মরত। প্রকাশিত
বইঃ একটা দুটো
অস্ত, জাহাঙ্গির
কে লেখা কবিতা।
প্রানীবিতান
হাতি-
১
ফুলকিয়া বইহার
দিয়ে জ্যোৎস্না
ছুটে যায়। আমি
পিডিএফ
খুলে দেখি , বাতাসে
হাওয়া করছে বনঝাউ-এর
সারি। সাদা বন,
সাদা গোলগোলি ফুলের
গাছ, সাদা বন ধুতরা।
শাদা ধুতি
পরে বিভূতিভূষণ
চলে যাচ্ছেন লবটুলিয়া
থেকে এই ফুলকিয়া
বইহার
সমস্ত শাদা
রঙ-এর ভেতর এই ফাঁকা
এই চলে যাওয়া অবধারিত
থাকে, চীনা ঘাস,
ঢালু হয়ে চলে যাওয়া
কলাই বা
সর্ষের অপার।
নরম রবারের
শুঁড় নিয়ে হাতিরা
চলে যাচ্ছেন। অর্থাৎ
মানুষ গাছ
কেটে ফ্যালে, চাষ
বাড়ায় আর এই প্রাথমিক
অর্থনীতি আশাবাদ ও ঊর্ধ্বতন-এর
ওপর জ্যোৎস্না
পড়লে মানুষ বাড়ে,
হাতিরা চলে যায়।
তাদের চলে
যাওয়া যাতে বিস্তৃত
না হয় অতিরেক না
হয় অসহিষ্ণু
না হয়
আমি ফ্ন্ট
ছোট করি, জঙ্গল
ঘন করে দেই।
বাবুই
দীননাথ আমি
তোমার নাম
উচ্চারন করতে করতে দেখতে পাই
তোমার ধুতির খুঁটে
ময়লা জমেছে জীবাণু জমেছে
আর জীবাণুরা শ্রদ্ধা
জানাচ্ছে তোমায়।
তোমায় দুখী দেখতে
পাই দীননাথ যেন
কয়েক যুগ আগে থেকে
তুমি সত্যনিষ্ঠ
ছিলে , সৎ ছিলে সংসারী
হতে চেয়েছিলে যথাযথ।
আর মানদাসুন্দরী
তোমায় আপন করে
নি।
সেকথা জীবাণুরা
জানে, তোমার একটেরে
প্রায়ান্ধকার
ঘর আরও অন্ধকার
করে ঘিরে ধরেছে
তাল, নারকেল খেজুর
দু একটা শিরিষ
। তাল, নারকেল খেজুর
দু একটা শিরিষ
জানে আর বাবুইরা
জানে । দীননাথ
তোমার নাম উচ্চারণ
করতে করতে বাবুই Ploceidae গোত্রের অন্তর্গত
একদল প্যাসারাইন
পাখি
গাছে গাছে
প্রেগন্যান্সি
ঝুলিয়ে রাখে।
হাতি
-২
স্বাস্থ্য
এক সচেতনতার বিষয়
ফলে জঙ্গলে হাতি
থাকে। অনেক মাংস
নিয়ে, বড় দাঁত নিয়ে
হাতি থেকে যায়। ফলত হাতির
বিজ্ঞানসম্মত
নামে আমি মাক্সিমাস
বা লক্সডন্টা দেখতে
পেয়েছি।
দেখতে পেয়েছি
কোন গুল্মের আড়ালে,
পাথরের আড়ালে চিহড়
লতার আড়ালে অনেক
রবার নিয়ে মৃদু
মেটাবলিক রেটের
এই প্রানী টি দাঁড়িয়ে
আছে। হাঁটলে মুছে
যাবে, গুল্ম, গুল্ম
ও পাথর, পাথর, পাথর
ও চিহড় লতা মুছে
মুছে যাবে।
ফলত মুছে যাওয়ার
বিজ্ঞানসম্মত
নামে আমি হারু মুদির
দোকান একটি লন্ঠনের
ঝুঁকে পড়া খেরো
খাতায় ব্যাড
হ্যান্ড রাইটিং
দেখতে পেয়েছি,
রবার দিয়ে মুছে
দিলে দেখতে পেয়েছি
চাল ডালের
আড়ালে হাতি হেঁটে
গ্যাছে।
উট
বাড়ি থেকে
ফোন আসে, আমরা ‘ওকে’
বলি । মেয়ের জুতো
কেনার কথা থাকে
সেখানে। ‘ওকে’ বলি
। চাল ডাল বাতাসা
ফুরিয়ে আসার কথা
থাকে বা অভিমান
কবে বাড়ি আসবে,
বাড়ি এস
আমরা ‘ওকে’ বলি।
আমি ‘ওকে’ বলি।
অফিস থেকে
ফোন আসে। ‘ওকে’ বলি।
ফলত এই সব ‘ওকের’
কিছু ফুল্ল থাকে
কিছু দৈন্য। গলবিলের
নিচে কিছু তরুণাস্থির
কাজ থাকে যা ওকে
ওঠায় সামান্য ধাক্কা
দিয়ে আর মাঝখানে
হাওয়া বড় করে, গলা
বড় করে, আমাদের
অ্যাডামস অ্যাপেল গড়িয়ে দেয়।
আমরা ও কে বলি
আর উট বসে থাকে।
মাছ
প্রিয়পর্দানেষু,
তোমাকে আমি গরমের
কথা বলেছিলাম,
বৈশাখ ও
চৈত্র এ আবহাওয়ায়
কার্বনের কথা,
বলেছিলাম ত্বকের
যত্ন নিও বা ডাস্ট
পার্টিকেল-এর কথা...আর
কেন তুমি অ্যালোভেরায়
বিশ্বাস রাখবে।
এখন বিস্তীর্ণ
চামড়া ছড়িয়ে হাতের
ডৌলটুকু তুমি মেলে
দেখিয়েছ, একটা
দুটো ফুস্কুড়ি
বিস্তীর্ণ
ত্বক জুড়ে চাপ
দেওয়ার ছোট্ট জলাশয়…
ফর্সা একটা
দুটো, যেন
একদিন মাছ
ছিল, ফুট দিয়ে মিশে
গ্যাছে ত্বকে আবার…
Copyright ©
2020 Astanirjan Dutta Published 1st Sep, 2020