Presenting MURAT NEMET-NEJAT
KAURAB INTERNATIONAL READING SERIES EVENT No. 11
১৭ই
ডিসেম্বর, ২০১৬
মঞ্জির চট্টোপাধ্যায়ের
সংস্থা FOLK এর সহায়তায়
মানিকতলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল
এস্টেটে ‘ফোক’-য়ের
মূলকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত
হয় কৌরব অন্তর্জাতিক
পাঠচক্রের ১১ নং
পাঠ। এদিন প্রবীণ
তুর্কি-মার্কিন
কবি মুরাত নেমেত-নেযাত
কবিতা পড়েন। অনুষ্ঠান
পরিকল্পনা, আহ্বান
ও সঞ্চালনা করেন
সুদেষ্ণা মজুমদার।
মুরাতের তিনদিনের
কলকাতা সফর সফল
হয়ে ওঠে আরো কিছু
বন্ধুর জন্য যাঁদের
প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা
– অনুপম রায়, সোমনাথ
সেন, অরিত্র সান্যাল
ও অধ্যাপক চিন্ময়
গুহ। অনুষ্ঠানে
মুরাত নেমেত-নেযাত
নিজের কবিতা ও
তুর্কি অনুবাদ
পড়লেন ইংরেজিতে। ওঁর
কবিতার বঙ্গানুবাদ
পড়ে শোনান অরিত্র
সান্যাল ও সোমনাথ
সেন। পাঠের শেষে
আলোচনাচক্র।
অনুষ্ঠানের
দিন The Telegraph-T2 র পাতায়
মুরাতের সাক্ষাতকার
প্রকাশিত হয়। সাক্ষাতকার
নেন অনুপম রায়।
http://www.telegraphindia.com/1161217/jsp/t2/story_125110.jsp
যাঁরা
পাঠাসরের অভিজ্ঞতা
নিয়ে সমাজমাধ্যমে,
অর্থাৎ ফেসবুক,
ট্যুইটার, হোয়াটস-অ্যাপে
লিখেছেন, ছবি ভাগ
করেছেন – সেইসব
লেখা থেকেই তৈরি
হলো নিচের বিবৃতি।
লিখেছেন
– কৌশিক চক্রবর্তী,
অরিত্র সান্যাল,
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়,
শবরী রায় ও অরুণ
দত্ত।
ছবি
তুলেছেন – অরিত্র
সান্যাল, অরুণ
দত্ত, শবরী রায়
ও অনেকে।
‘কবিতা পড়া আর
কবিকন্ঠে কবিতা
শোনার অভিজ্ঞতা
যে একেবারে আলাদা
কাল আবার বুঝলাম।
কৌরবদের ধন্যবাদ
দেবার ভাষা নেই
এমন একটা সুযোগ
করে দেবার জন্য।
মুরাত নেমেত-নেযাত তুর্কি
কবি। লেখেন ইংরেজিতে।
বলেন অসাধারণ।
বিনয় এবং সৌজন্য
শেখার মত। নিজের
কবিতা তো পড়লেনই
সঙ্গে তাঁর কৃত
অনুবাদ শোনালেন
(অন্যান্য তুর্কি
কবিদের কবিতার), যাঁর মধ্যে সামি
বায়দার অন্যতম।
প্রশ্ন, উত্তর
গল্পে কাটল এক
অসাধারণ সময়। সমৃদ্ধ
হলাম শিখলাম’।
‘মুরাতের কবিতা
অন্য স্বাদের।
ফর্ম অনেকটা শ্রুতি
কবিতার মতো। বেশ
নিমগ্ন স্বরে পড়েন
ভদ্রলোক। স্থির।
শান্ত। তুর্কি
কবিতাই ওকে প্রভাবিত
করে বললেন। অনুবাদও
পড়া হল। ‘দিগন
তল্লাটের দিকে’.... দারুণ।
পরে ভদ্রলোক ইংরিজিটা
পরার সময় আরো ভাল
বোঝা গেল। ধ্বনির
প্রয়োগও চমৎকার।
এককথায় মারহাব্বা!
অদ্ভুত
একটা কথা বলছিলেন।
ইংরিজিটা অ্যালিয়েন
একটা ল্যাংগুয়েজ।
ওর কবিতার পার্স্পেক্টিভে।
অসাধারণ এক হাইকুর
ঘ্রাণ কোনো কোনো
কবিতায়। খুব সংহত’।
‘‘কৌরব'-এর
অনুষ্ঠানে মুরাত
নেমেত-নেযাতের
কবিতা পাঠের সন্ধ্যা
কখনোই ভোলা যাবে
না! আহা! ঘরোয়া অনুষ্ঠানে
কবির সাথে কাটালাম
আমরা। সুদেষ্ণাদি,
সোমনাথ, অরিত্র,
অনুপম রায়,
নীলাব্জ, কৌশিকদা, শবরী রায়,
চেতনা সহ অনেকেই
নির্মল আনন্দের
সাক্ষী রইলাম...’
‘প্রিয়
আর্যনীল দা,
১৭ তারিখের
অনুষ্ঠানে যে উপস্থিত
থাকতে পারলাম, মুখোমুখি বসে
কবি মুরাত নেমেত-নেজাতের
কবিতা শুনতে পারলাম, তা এক অভিজ্ঞতা। হয়ত বা
experience of a life time। এই অনুষ্ঠানে
উপস্থিত থাকতে
পারার সুযোগ করে
দেওয়ার জন্যে আমি
তোমার ও কৌরবের
প্রতি কৃতজ্ঞ ।
মুরাত
নেমেত-নেজাতের
কবিতা সত্যিই এক
অনন্য প্রাপ্তি।
তাঁর কবিতায় শব্দ
ও নিঃশব্দের যে
খেলা, তা আমায়
বুঁদ করে রেখেছে
সেই শনিবাসরীয়
সন্ধেবেলা থেকে।
এখনও এক ঘোরের
মধ্যে রয়েছি। কবিতায়
কতটুকু বলব, আর কতটুকু বলব
না, তা সত্যিই
ওনার কবিতা থেকে
শেখবার। মহাভারতে
দ্রোণাচার্য ঠিকই
বলেছিলেন, প্রকৃত যোদ্ধা
সে-ই, যে অস্ত্র
চালনার পাশাপাশি, নিজের অস্ত্র
সংবরণও করতে জানে।
ছোটবেলায় ক্রিকেট
ধারাভাষ্যে গাভাস্কারের
ব্যাটিং কালে যখন
শুনতাম, well left, মজা লাগত।
এখন তার কিছু কিছু
অর্থ বুঝতে পারি
হয়তবা।
আর
নেজাত এত অসামান্য
পড়েন, ওফ্ফ্...! মনে
হল, তিনি
কবিতাগুলোর ঘরানায়
যতটা না মন দিয়েছেন, তার
চেয়ে ঢের বেশি
সময় দিয়েছেন বাহিরানায়।
অবশ্য এ একান্তভাবেই
আমার নিজস্ব ভাবনা।
ক্ষমা চাইছি।
উপস্থিত
কয়েকজনের হাতে
মুরাতের কবিতার
বই দেখে, উঁকিঝুঁকি
দিলাম। তেষ্টা
আরও বেড়ে গেল।
বোঝা গেল, এ কবিতা
যতটা না শোনার
তার চেয়ে অনেক
বেশি পড়বার। তার
কবিতায় স্পেস
ও লাইনের যে ব্যবহার, তা তো শিক্ষণীয়।
অথচ Animals of Dawn বা The Spiritual
Life of Replicants অথবা
Eda : An Anthology
of Contemporary Turkish Poetry এই বইগুলো
বড্ড বেশি দামী। সংসারের
জোয়াল টানা ক্লান্ত
সাধারণ মধ্যবিত্ত
লোকের পক্ষে বেশ
কষ্টকর। পড়তে ইচ্ছে
হয়, অথচ, উপায়
নেই। তাই একইসঙ্গে, অনেক অনেক ভালোলাগার
পাশাপাশি, নিজেকে আরও একবার, খুব খেলো মনে হল।
আরও একবার কৃতজ্ঞতা
ও ধন্যবাদ জানাই।
এই অসামান্য সন্ধ্যার
জন্যে...
ভালো
থেকো।’
===